Sunday, November 17, 2019

Preface to 'I Don't Care'!


ভালোবাসা, সহানুভূতি, উৎসাহ, সাহায্য, প্রশংসা, কৃতজ্ঞতা, সেক্রিফাইজ-কম্প্রোমাইজ— এই জিনিসগুলোর সাথে আমি পারিবারিকভাবে পরিচিত নই; আমি এসব সম্পর্কে জেনেছি বই পড়ে এবং সিনেমা-নাটক দেখে দেখে। আমি ছোটবেলা থেকে পারিবারিকভাবে পরিচিত স্বার্থের দ্বন্দ্ব, সুবিধাবাদ, কর্তৃত্ববাদ, অবহেলা, তিরষ্কার, আত্নকেন্দ্রীকতা, জোচ্চুরিবিদ্যা— এসবের সাথে, এসব দেখে দেখে আমি বড় হয়েছি। এসব ফেস করায় এই ২৯ বছর বয়সেও আমি একজন শূন্য মানুষ। কারণ আমি অন্যদের মতো স্বার্থবাদী হয়ে নিজের আখের গোছাতে পারিনি।
আমার সঙ্গে যারা ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত তারা জানেন আমি কতটা সৎ, ধৈর্য্যেশীল, অধ্যবসায়ী ও উদ্যোগী। কিন্তু অভিশপ্ত ফ্যামিলিতে জন্ম হওয়ায় লাইফে উন্নতি করার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে; ভবিষ্যতেও যে হবে তার লক্ষণও সুস্পষ্ট।
তাই ভবিষ্যতে হয়তো আমাকে আন্ডারওয়ার্ল্ড কিংবা অন্যকোনো অস্বাভাবিক পেশায় যেতে হবে। সেদিন আশ্চর্য হয়ে কিছুক্ষণ স্থম্ভিত হয়ে পড়ে নিজের এনার্জি লস করার প্রয়োজন নেই। আমাকে এতোদিন ভালো মানুষ ভেবে এসেছেন এই যথেষ্ট; আর ভালো মানুষ ভাবার প্রয়োজন নেই। 'ও এমন হতেই পারে না'— আমাকে নিয়ে আর এই উক্তি করার প্রয়োজন হবে না।
হিটলার ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করার পর অল্পকিছু ইহুদিকে বেঁচে রেখেছিল যাতে পৃথিবীবাসী জানতে পারে ইহুদি কী জিনিস! অর্থাৎ হিটলারের কেনো ইহুদিবিদ্বেষ জন্মেছিল ও কেনো ইহুদি হত্যা করেছিল সেই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে অল্পকিছু ইহুদি বেঁচে রেখেছিল।
আমাকে কেনো এই ২৯ বছর বয়সে এসে এতোদিনের স্রোতের বিপরীতে চলে ধরে রাখা আদর্শ ও নীতি থেকে সরে এসে আন্ডারওয়ার্ল্ড কিংবা অন্যকোনো অস্বাভাবিক পেশায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তার উত্তর হিসেবে দুইটি বই লেখা শুরু করেছি— 'গিভ অ্যান্ড টেক' এবং 'আই ডোন্ট কেয়ার'। আশাকরি কয়েক অন্ধের হাতি দেখা গল্পের হাতির একটি অংশ দেখে মন্তব্য করার মতো ভবিষ্যতে আমার সম্পর্কে ১০% জেনে কমেন্ট করার আগে আমার এই বই দুইটা পড়ে দেখবেন।

© মেহেদী হাসান,
লেখক : আই ডোন্ট কেয়ার।

"নিন্দা করতে গেলে বাইরে থেকে করা যায়, কিন্তু বিচার করতে গেলে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়"
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


No comments:

Post a Comment